রহমত নিউজ ডেস্ক 08 June, 2023 10:59 AM
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলছেনে, এই অবৈধ সরকারের কাছে দেশের নাগরিক ও সার্বভৌম নিরাপদ নয়। এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে অনিরাপদ হয়ে উঠবে সবার জীবন। তাই এই অবৈধ সরকারের গলায় গামছা পেঁচিয়ে ক্ষমতা থেকে নামাতে হবে। তাদের আর ক্ষমতায় রাখা যাবে না।
বুধবার (৭ জুন) বিকেলে রংপুর প্রেসক্লাব চত্বর সড়কে অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন ও সংবিধান সংস্কারসহ ১৪ দফা দাবিতে গণতন্ত্র মঞ্চের ঢাকা-দিনাজপুর রোডমার্চ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশ চলাকালে পুলিশের সাথে গণসংহতি আন্দোলনের নেতাকর্মীদের হাতাহাতি হয়। এ সময় তারা সরকার ও পুলিশবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেন। সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চ রংপুরের সমন্বয়ক আমিন উদ্দিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী প্রমুখ। এর আগে রংপুর প্রেসক্লাবের সামনে সড়ক বন্ধ করে সমাবেশ করতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চের কর্মীদের ধাক্কা ধাক্কি হয়। এতে গণতন্ত্র মঞ্চের দুইজন আহত হন। পরে সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে সড়কের এক পাশে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
রোডমার্চে পুলিশি বাধা নিয়ে জোনায়েদ সাকি বলেন, মার্কিন ভিসানীতির কারণে পুলিশ কৌশল অবলম্বন করে আমাদের রোডমার্চে বাধা দিচ্ছে। সরকার দলীয় অঙ্গসংগঠন আমাদের সমাবেশের স্থলে শান্তি সমাবেশের ডাক দিচ্ছে। শান্তি সমাবেশের অজুহাত দিয়ে পুলিশ বাধা দিচ্ছে। কারা কারা বাধা দিচ্ছেন, কারা সমস্যা তৈরি করছেন, তাদের তালিকা করা হচ্ছে। ১৪ বছরে অনেক বাধা দিয়েছেন। এবারে জনতা জেগে উঠেছে। জেগে ওঠা জনতার আদালত থেকে রক্ষা পাবেন না।
লোডশেডিং ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয়ে তিনি বলেন, দেশের মানুষ আর ঘুমাতে পারছে না। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে বিদ্যুতের ভেলকিবাজি চলছে। তাই এখন আর উন্নয়ন উন্নয়ন করে চিৎকার করে না। ফেরি করে বিদ্যুৎ দেওয়ার কথা বলে না। কারণ সরকার লুটপাট করে বিদেশের মাটিতে নিজেদের আরাম-আয়েশের ব্যবস্থা করছে, আর এ দেশের মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে।
সরকার নতুন টাকা ছাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জানিয়ে জোনায়েদ সাকি বলেন, ডলার সংকটের কথা বলছে সরকার। তাই টাকা ছাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই টাকা ছাপানো হলে দিনমজুর, কৃষক, শ্রমিকের আরও খারাপ অবস্থা হবে। দ্রব্যমূল্য আরও বাড়বে। কারণ সরকারই সিন্ডিকেট তৈরি করেছে। তাই তারা সিন্ডিকেট ভাঙতে চায় না, ভাঙে না।